প্রকাশিত: Thu, May 4, 2023 4:51 AM
আপডেট: Tue, Jul 1, 2025 3:14 PM

কুড়িগ্রামে নদীভাঙনে বিলীন হচ্ছে ফসলি জমি বসতবাড়ি

শাহনাজ পারভীন: উলিপুর উপজেলার বেগমগঞ্জ ইউনিয়নে বর্ষার আগেই ব্রহ্মপুত্র-দুধকুমোর ও ধরলা নদীতে ভাঙন  দেখা দিয়েছে। গত ছয় মাসে উলিপুর উপজেলার বেগমগঞ্জ ইউনিয়নের মোল্লা হাটে ১৭টি মসজিদ ও ৭টি স্কুল নদী গর্ভে বিলীন হয়েছে। রসুলপুর সরকারপাড়া, ব্যাপারী পাড়ায় ২ হাজারের বেশি পরিবার নদী ভাঙনে সর্বস্ব হারিয়েছে। 

নদীবহুল কুড়িগ্রাম জেলায় ১৬টি অভিন্ন নদ-নদী ছাড়াও প্রবাহিত হয়েছে আরো ২৮টি ছোট নদী ও খাল। 

সরেজমিন দেখা গেছে, ব্রহ্মপুত্র ও দুধকুমোরের মিলনস্থলে নদী ভাঙন আতঙ্ক রাতের ঘুম কেড়ে নিয়েছে বেগমগঞ্জ ইউনিয়নের রসুলপুর এবং সরকারপাড়া ব্যাপারী পাড়া গ্রামের হাজারো মানুষের।

একই ইউনিয়নের সরকারপাড়া ও সাহেবের আলগার নামাজের চরে মানুষের মাঝে ভাঙন আতঙ্ক বিরাজমান। 

গত মাসে জেলার বিখ্যাত মোল্লারহাটের অর্ধেক চলে গেছে ব্রহ্মপুত্রের পেটে। এখানেও ভাঙন তীব্র হয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড জিও ব্যাগ ফেললেও তা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল বলে স্থানীয়দের অভিযোগ।

বেগমগঞ্জ ইউনিয়নের রসুলপুর গ্রামের বাসিন্দা আব্দুল ইছাহাক, মাইদুল এবং ৪ নাম্বার ওয়ার্ডের সাবেক মেম্বার রহিম বাদশা জানান, বেগম নুর নাহার বালিকা বিদ্যালয় হতে মোল্লা হাট পর্যন্ত ব্রহ্মপুত্র নদের ভাঙনে বাড়িঘর সব বিলীন হয়ে গেছে। আমাদের যাওয়ার জায়গা নেই। 

বেগমগঞ্জ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বাবলু মিয়া বলেন, আমার ইউনিয়নের তিন দিকে ব্রহ্মপুত্র, ধরলা ও দুধকুমোরের ভাঙনে পরিবার ঘরবাড়ি হারিয়ে নিঃস্ব হয়েছে। ইউনিয়ন পরিষদ ভবনসহ বিদ্যালয়ের পাকা ভবন ও ঘরবাড়ি, ফসলি জমি রক্ষায় আমি স্থায়ীভাবে ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানাচ্ছি।

কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ-আল-মামুন বলেন, আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছি। সম্পাদনা: মুরাদ হাসান, সালেহ্ বিপ্লব